শক্তিরসের পুনরাধুনিক :: অনুপম মুখোপাধ্যায়



খারাপ মা

আপেলের ছুরিতে ঝুড়িতে ঘসে
গাল ছড়ে গেল
এই রক্ত
তোর মুখে
তুলে ধরছি
খোলা প্রদীপের সামনে
তুই। আমার রক্ত ফেলে দিলি
কেটে দিতে পারলি কী করে তুই
কী করে পারলি
ফাঁকা মুখে
অতখানি
চোখের দাগ রাখতে
যেন। সিঁদুর সাজছে
দ্যাখ
সিঁদুর সাজছে
আমার
সলতে পোড়া মাথা
তুই
জিভ কর। মুখে তুলে নে
শরীরের। যতটুকু বাঁক
ফাঁক
রস দ্রব নয়
খর
রক্ত হয়ে ছুটছে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে
যে কোনো মেয়ে
যে কোনো ফলে। দাঁতে
নদী। আর
যতখানি
শ্যামলিমা
মাআআআআআ
হয়ে আছে




খারাপ মাসি

জলঘরে। একা নিয়ে
বোধ ছুঁয়ে দ্যায়
তিরের কমোড
লোহা। হরিণের
স্নান চান
যে টাকা কুড়িয়ে পাই
ছুঁড়ে ফেলে দিই
সেটাই। ছিনিয়ে নিই
খালি সিঁড়ি
পেলে
পাথরের নটরাজ। অথবা
মাটির
মাসি। তুই
রাখালিয়া
ফাঁসির কারন





খারাপ বৌ




পিরামিড। রস জল দিয়ে মেঝে মোছে না

পরিধির রস জল কেউ
মুখে ন্যায় না
ততটাই
নিচে আছে চাঁদের বাহার
সেই হিরে চেটে কেউ
বাজারে ঢোকে না
তর্করত্ন জানে। বিদ্যাভূষণের
আঙুলে যা সুখরস
গলে
পড়ে
যায়
রসের তো কেউ নেই
উলঙ্গ ও। একা
একা। একা। এসে যায়
একা
একা
       সে


 


খারাপ বান্ধবী


২টো স্তনের বদলে। তুই
২টো বান্ধবী
পেয়েছিস
এখন তো তোর হাতে
৪খানা স্তন
শেষরাত। আফশোস
কেন যে করিনি
হাত তো হাটের আহ্ স্পেলিং মিসটেক
করার সুযোগ থাকে যে কোনো কথায়
যে কোনো মোড়েই থাকে
নেওয়ার ঈশারা
কেন যে নিইনি
ঈশ
কেন যে টিপিনি
৩-চোখো বান্ধবী
হ’লে। বেশ হয়
স্পেলিং মিসটেক
অহো
স্পেলিং মিসটেক
কুয়াশায়। স্তবগুলো  স্তনগুলো
স্টোন হয়ে গ্যালো





10 comments:

  1. পুনরাধুনিকের পথ আরও প্রসারিত হোক। শব্দ কাটার এই কবিতাভাষ্য বেশ ভালো লাগে। শব্দব্যবহারের কৌশলও।

    ReplyDelete
  2. খারপ মাসির দরদ সত্যিই মায়ের চেয়ে বেশি। রাখাল এর ব্যঞ্জনা ভয়ানক। মা কবিতার মধ্যে শ্যামলিমা লাল নীল রং এ মা আ আ আ হয়ে থাকা অনেকটা মায়া ছড়িয়ে শ্যামা মায়ের চরণ আর ওপরের রক্তজবা একাকার। আর সেই মায়া খুব স্বাদু নয়, অস্বস্তির, যা তুমি সর্বদা তৈরী করো। পিরামিড শবটাই বৌ কবিতার সবটা বলে দিল। আর রসবোধ যেভাবে গড়ালে ছত্রে ছত্রে---বান্ধবী আরেকটু মনোযোগ দাবী করতে পারত। তবে ওই তিন চোখো বান্ধবী আর নিচে কালো চরণ আবারো সেই অঘোর রূপিনীর ঘোরে---- আছি ঘোরে।

    ReplyDelete
  3. সিগনেচার লেখা, এই লেখায় নাম না থাকলেও প্রতিটা অক্ষরই তো অণু আর জমাট বেঁধেই আছে... এই ডিফিউশন নেই

    ReplyDelete
  4. 'খারাপ' লিখে কেটে দেবার পরও তার দাগ থেকে গেলো পাঠকের মনে। 'শ্যামলিমা' খুব দীর্ঘ ও বর্ণিল আআআআআআ ও রঙ ব্যবহারে বোঝানো যায় বুঝতে পারলাম। 'স্তনগুলো' ''স্টোনগুলো' শব্দকে তার স্তব্ধতা থেকে মুক্তি এভাবেও দেওয়া যায় ! ভালো লাগা বার বার...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ মাসুদার-দা

      Delete
  5. লেখার নতুন স্টাইলখানা বেশ লাগল ...আরও চাই

    ReplyDelete