মিতা চার্বাক



সমুদ্র দেখা


সমুদ্র দেখার মতো কিছু একটা হবে হয়তো
অথচ এইসব
সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত খেলায় শরীর খারাপ হয়ে ওঠে, ব্যারামের মতন করে ।

তবু সমুদ্র দেখতে আসা…
অন্ধ পাহাড়ের সামনে যত অকল্যাণ।
ফেনিয়ে ওঠা মুহূর্ত ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই অর্থহীনতা… মগজে, মননে।

একটা সমুদ্রের সামনে মানুষ কেন আসে ?
কেউ কি গভীর হয়ে ওঠে ?
অথচ, “গভীর হওয়া” মানে তো বিপন্ন বোধ, কোনো পাঠলুপ্ত মিথ।

(এইসব আজাইরা প্যাঁচপ্যাঁচানি একজন নামিবিয়ান দার্শনিকের কথা মনে করিয়ে দেয়। যার এপিটাফে এক গ্লাস অন্ধকার ঢেলে দিতে ইচ্ছা করে সব সময়।)

সমুদ্র দেখতে আসা লোকটি রাতের বেলা একা জেগে থাকল লাল মদের দক্ষতায় অথচ এখনো তার পর্যাপ্ত বয়স হয়নি মাতাল হবার ।
যে টিকটিকিটি হোটেল কক্ষের দেয়ালে দেয়ালে চক্কর দিচ্ছিল, তার লেজ খসে পড়ল ফজরের আযানের আগেই । ঘুমন্ত বউটির মুখে টিকটিকি বাসি ছায়া ফেলে রেখেছে।

“বেসিকেলি সমুদ্র একটা গৃহপালিত প্রস্রাবখানা”
এই বলে লোকটি বিকৃত মুখ করে বসে রইল দুপুর অবধি।

একটু দূরে আট বছরের মেয়েটি অরিগামি পেপারে পাখি বানাচ্ছিল, উড়াবার সংকল্প সমেত।


6 comments:

  1. খুব ভালো লেগেছে। আপনার কবিতা প্রথম পড়লাম। সত্যিই এক নতুন পড়লাম

    ReplyDelete
  2. বাহ। বেশ লাগলো। দারুণ।

    ReplyDelete
  3. ভালো লেগেছে। সমুদ্রে যাবো, এই কবিতা পড়ে, আবারও।

    ReplyDelete